
বিস্মৃতপ্রায় স্থাপনা ঘূর্ণায়মান রেল সেতু ও বিলুপ্ত টার্ন টেবিল
[ লেখাটি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মার্চ সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এ প্রকাশ হয়েছিল]
বিস্মৃতপ্রায় স্থাপনা ঘূর্ণায়মান রেল
সেতু ও বিলুপ্ত টার্ন টেবিল
হা-মীম আবদুস সবুর
দুই হাজার সতের সালের আঠাশ ফেব্রুয়ারি ও পয়লা মার্চ, দুই দিনের নিরীক্ষা কর্মসূচি ছিল সিরাজগঞ্জে। তাই আগের দিন সাতাশ তারিখ ভোরে রিকশায় পাকশী থেকে রওনা হয়ে আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি যোগে জংশন স্টেশন ঈশ^রদী থেকে শহিদ মনসুর আলী স্টেশনে নেমে অটো রিকশাতে আমরা দুপুরের আগেই সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে পৌঁছে গেছি। বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবার পর থেকে জেলা শহরে অবস্থিত এক সময়ের ব্যস্ততম এ স্টেশনটি রেল যোগাযোগে তার আগের গুরুত্ব হারিয়েছে। সম্ভবত বর্তমানে ঢাকা- সিরাজগঞ্জ বাজার রুটের একটি আন্তঃনগর ট্রেন সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ছাড়া আর কোনো ট্রেন এ স্টেশনে আসে না। তবে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের দু’টি মাঠ পর্যায়ের মেইনটেনেন্স অফিস এখানে থাকায় এটির প্রশাসনিক গুরুত্ব এখনও বিলুপ্ত হয়ে যায়নি।
আমরা মানে তিনজন, রাজশাহী অফিসের আমি সাথে দুইজন অডিটর, একজন জনাব সফিকুল ইসলাম স¤্রাট ঢাকা অফিসের, আর একজন জনাব মিটু চন্দ্র দাস চট্টগ্রাম অফিসের। দেশের অপেক্ষাকৃত পশ্চাদপদ উত্তরাঞ্চলে ওঁরা নবাগত। এর আগে তাঁদের কখনও এদিকে আসা হয়নি, তাই কাজের ফাঁকে অবসরে বিশেষ করে বিকেলে আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখানোর চেষ্টা করি সাথে স্থানীয় অফিসের কেউ না কেউ থাকেন আমাদের গাইড হিসেবে।
সেদিন সকাল সকাল গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ায় অখ- অবসর দুপুরের পর থেকে। কোনো অফিসিয়াল কাজ নেই, কাজের তাড়াও নেই। তাই বিকেলে সফরসঙ্গী দু’জনকে রেলের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন স্টিম লোকোমোটিভ (কয়লার ইঞ্জিন) ঘুরানোর টার্ন টেবিল দেখাতে নিয়ে যাবার কথা ছিল। এজন্যে উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, রেলপথ, সিরাজগঞ্জ বাজার অফিসের বড় বাবু (টাইম কিপার) কাজী সাহেবের (অনেকদিন আগের ঘটনা হওয়ায় নাম ভুল হলে দুঃখিত) শরণাপন্ন হলাম। তাঁর চাকরি জীবনের পুরোটা সময়ই সিরাজগঞ্জে কাটানো। কাজী সাহেব হালকা-পাতলা এবং অনেক লম্বা মানুষ, পাজামা পাঞ্জাবি পরেন, নামাজি ও মিশুক প্রকৃতির। উনি আমাদের আসার কথা শুনে জোহরের নামাজ পড়ে রেস্ট হাউজে দেখা করতে এসেছিলেন। আমাকে বিস্মিত করে জানালেন, আমাদের দেখতে চাওয়া টার্ন টেবিলটি আর নেই, রেল কর্তৃপক্ষ ওটি বেশ ক’বছর আগে নিলামে বেচে দিয়েছেন এবং রেলের ঐ জায়গায় একটি পাবলিক স্কুল হয়েছে। বিকেলে তবু কাজী সাহেবকে সাথে নিয়ে জায়গাটি দেখতে গেলাম। নিলাম গ্রহীতা টার্ন টেবিলের ইটের বেসসহ লোহার স্থাপনাটি মাটি খুঁড়ে তুলে নিয়ে যাওয়ায় জায়গাটি জঙ্গলাবৃত খাদে পরিণত হয়েছে। তাই এখন দেখতে চাইলে কল্পনায় দেখতে হবে টার্ন টেবিল।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে আলোচিত টার্ন টেবিলটা আসলে কী? বাংলাদেশ রেলওয়েতে স্টিম লোকোমোটিভ (কয়লার ইঞ্জিন)-এর দীর্ঘ যুগ শেষে এখন ডিজেল লোকোমোটিভ (ডিজেল ইঞ্জিন)-এর যুগ চলছে, যা শুরু হয়েছে পাকিস্তান আমলে। বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগ এখনও শুরু হয়নি (সম্প্রতি ঢাকায় ভিন্ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিদ্যুৎচালিত মেট্রো রেল চালু হয়েছে)। আর আমরা এটা দেখে অভ্যস্ত যে, ডিজেলচালিত রেল ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) সামনে ও পেছনে সমান গতিতে ছোটে। তাই খুব খেয়াল না করলে লোকেমোটিভের মুখ কোনটা বা কোন দিকে সেটা ঠিক বোঝা যায় না। কিন্তু অতীতে যখন স্টিম ইঞ্জিনে ট্রেন টানতো তখন ব্যাপারটা তেমন ছিল না। স্টিম ইঞ্জিন বা কয়লার ইঞ্জিনের মুখ মানে লম্বা নাকের মত গোলাকার ব্রয়লার অংশটি সামনের দিকে রেখে পেছনে যাত্রীবাহী কোচ বা মালবাহী ওয়াগনের লম্বা সারি জুড়ে তীব্র বেগে ছুটলেও ইঞ্জিনের মুখ পেছন দিকে রেখে উল্টো দিকে তেমন বেগে ছুটতে পারতো না, যাত্রীবাহী কোচ বা মালবাহী ওয়াগনের লোড নিয়ে তো নয়ই- ডিজেল ইঞ্জিন যেমন পারে। তাই সে সময়ে ইঞ্জিনের মুখ যতবার প্রয়োজন ততবার ঘুরিয়ে নিতে হতো। আর এ জন্যে গোলাকার টার্ন টেবিলের গোল লোহার প্লেটের ওপর উঠিয়ে ইঞ্জিন সমেত প্লেটটি ঘুরিয়ে ইঞ্জিনের মুখটা ঘুরিয়ে দেয়া হতো। বিশেষ করে ঈশ^রদী-সিরাজগঞ্জ রুটের রেল লাইন সিরাজগঞ্জ ফেরি ঘাটে গিয়ে শেষ হয়ে যাওয়ায় ফিরতি গাড়ি টানার জন্য ইঞ্জিনটিকে প্রতিবারই টার্ন টেবিলে তুলে ঘুরিয়ে নিতে হতো।
এর আরেকটা বিকল্প পদ্ধতি ছিল ঈশ^রদীতে, সেটা হলো ত্রিকোণাকার রেললাইন, সেটারও অস্তিত্ব বর্তমানে নেই। ঈশ^রদী স্টেশনের উত্তরের রেল গেট পার হয়ে মেইন লাইনের পূব পাশ থেকে পাকশীর দিকে বেরিয়ে যাওয়া পাইলট লাইন এবং মেইন লাইনের সংযোগ স্থলে অবস্থিত ত্রিকোণাকার জলাশয়ের (জলাশয়টি আছে) তিন পাড়ে রেললাইন পাতা ছিল, সেই লাইনে কয়লার ইঞ্জিন উঠিয়ে প্রথম বাহুতে সোজা গিয়ে দ্বিতীয় বাহুতে উল্টো চলে তৃতীয় বাহুতে উঠে ইঞ্জিনের মুখ সোজা হয়ে যেতো। সর্বশেষ ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত এ ইঞ্জিন লাইনে চলেছে। তারপরে এটি শুধুই ইতিহাস।
এগুলো সবই এখন নিছক গল্প, কারণ এ দুটোর কোনটিরই আর এ দু’জায়গায় অস্তিত্ব নেই। অথচ এগুলো পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ইতিহাস ঐতিহ্যের অকাট্য প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণ করা যেত। পাশের দেশ ভারতের দার্জিলিং-এ ১৮৭৯-১৮৮১ সময়ে স্থাপিত নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত ৮৮ কি.মি. (৫৫ মাইল) ন্যারো গেজ (২ ফিট) লাইন যার ওপর দিয়ে চলাচলকারী অপেক্ষকৃত ধীর গতির ট্রেন যেটা হেরিটেজ ট্রেন বা টয় ট্রেন নামে এখনও টিকে আছে। যদিও কোচগুলোর পর্যটক উপযোগী আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। নিয়মিত যাত্রী বহন করে লং রুটে রেগুলার রাইড নামে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং এবং সেই সাথে শর্ট রুটে ‘দার্জিলিং স্টেশন থেকে ৫ কি.মি. পূবের ‘ঘুম স্টেশন’ পর্যন্ত। পর্যটন মৌসুমে দিনে ২০ জোড়া পর্যন্ত এই ট্রেন চলে জয় রাইড নামে। যা এখনও এই একবিংশ শতাব্দীতেও দার্জিলিং ভ্রমণকারী পর্যটকদের আনন্দ দেয়, অতীতকে ভাবতে শেখায়। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমাও পেয়েছে এই ট্রেন। আমরাও কি পারতাম না এমন কিছু করতে?
কাজী সাহেব বললেন, এখানে আরেকটা অতীত নিদর্শন আছে, যাবেন দেখতে? Ôঘূর্ণায়মান রেল সেতু’! বাংলাদেশে সম্ভবত এটাই একমাত্র, এই সিরাজগঞ্জে এখনও টিকে আছে কোনোমতে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন থেকে দুই রিকশায় রওনা হলাম আমরা চারজন, গাইড আমাদের কাজী সাহেব। এবারের গন্তব্য বাহিরগোলা, এক সময়ের কর্মব্যস্ত স্টেশন। কিছুদূর আসার পর বাহিরগোলামুখী যে রাস্তায় উঠলাম কাজী সাহেব জানালেন পরিত্যক্ত রেল লাইনের ওপরই তৈরি হয়েছে সে রাস্তা।
অবশেষে আমরা পৌঁছলাম বাহিরগোলায়। রিকশা থেকেই ঝুলন্ত সেতুর মত দুই জোড়া উঁচু লোহার পিলার নজরে পড়লো। মনে পড়লো রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর কথা। কিন্তু না, রিকশা থেকে নেমে দেখলাম বিষয়টি সে রকম না। রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর
দুই জোড়া পিলার দুই পাড়ের কাছাকাছি লেকের ভেতরর দু’দিকে আর এ ব্রিজের একটি মাত্র কংক্রিটের পিলার দুই পাড়ের পরিবর্তে এক পাড়ে, তবে ঠিক পাড়ের মাটিতে না বরং শহরের দিকের নদী বক্ষে মানে নদীতে। এই একটি ছাড়া আর কোনো পিলার নেই নদী বক্ষে বা অপর পাড়ে। এই পিলার থেকে শহরের দিকের পাড় পর্যন্ত ব্রিজের অংশটা ছোট আর পিলার থেকে নদীর ভেতরের দিকের অংশটা অনেক বড়, প্রায় তিনগুণ আনুমানিক। ঐ সবেধন নীলমনি পিলারের উপরেই দুই জোড়া ঢালাই লোহার পিলার পাশাপাশি সমান্তরাল অনেকটা উপরে উঠে গেছে আকাশমুখী লম্ব আকারে এবং সেই পিলার জোড়া থেকে স্টিল তারের মোটা রশি দিয়ে দুই পাশে টানা দেয়া হয়েছে নদীর মধ্যে ঝুলে থাকা ব্রিজের বড় অংশটা। বিপরীত পাশের অপেক্ষাকৃত ছোট অংশটিতেও একইরকম রশির টানা দেয়া আছে কিনা বহুদিন পর আজ আর মনে পড়ছে না।
ব্রিজটা নিশ্চল অবস্থায় পড়ে আছে অবহেলায় অনাদরে, সেই আটাত্তর সাল থেকে সম্ভবত। তবে পৌর কর্তৃপক্ষের বদৌলতে নিজ ঐতিহ্য হারিয়ে এটি এখন নিরীহ বাঁশের সাঁকোর মতো পায়ে হাঁটা মানুষ পারাপারের কাজ করছে। অথচ এটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী একটি প্রতœতাত্বিক সম্পদ।
কাজী সাহেবের কাছেই শুনলাম ঝুলন্ত মাথার চার চাকার দুই চাকা হারিয়ে গেছে ইতোমধ্যে। এটি হতে পারতো গোটা দেশের একটি দর্শনীয় স্থাপনা। আগের বৈশিষ্ট্যে ফিরিয়ে দিতে পারলে এটি এখনও হতে পারে অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। ঝুলন্ত ও ঘূর্ণায়মান দু’টি বিরল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্রিজটি! একটি মাত্র পিলারের উপর একটি বিয়ারিং-এর ওপর বসানো।
কল্পনায় ব্রিজটির যৌবনকাল দেখতে চেষ্টা করলাম। সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন থেকে টরেটক্কায় সিগন্যাল পেয়ে কর্মমুখর বাহিরগোলা স্টেশনের কর্মচারী চাবি নিয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে চলেছে নদীর গতি পথের অনকূলে সোজাসুজি করে রাখা ব্রিজের দিকে, তারপর ব্রিজটিকে ঘুরিয়ে নদীর উপর আড়াআড়ি অবস্থানে সেট করে দিলেন। ততক্ষণে ট্রেন এসে বাহিরগোলায় থেমেছে। যাত্রী ও মালামাল উঠানামা শেষে সিটি বাজিয়ে ইঞ্জিন চলতে শুরু করলো, পেছনে আংটা ও হুক দিয়ে একের সাথে আর একটা জোড়া যাত্রীবাহী কোচ আর মালবাহী ওয়াগনের সারি নিয়ে ঝিক্ ঝিক্ কু-উ-উ করতে করতে গোট ট্রেন অবলীলায় পেরিয়ে গেল ব্রিজ। আবার সেই দায়িত্ববান কর্মচারীটি এগিয়ে গেলেন ব্রিজটিকে আগের মত নদীর লম্বালম্বি অবস্থানে ফিরিয়ে দিতে। কারণ ট্রেনটি আবার না ফেরা পর্যন্ত এভাবেই থাকবে ব্রিজটি। তখন নদী পথের নৌযানগুলো নির্বিঘেœ ওটার পাশ দিয়ে চলাচল করবে। এ সবই কল্পনায়। আমি জানি না কীভাবে হ্যান্ডেল করা হতো ব্রিজটি। কল্পনায় বর্ণিত ব্রিজটি তো পার থেকে বেশ খানিকটা দূরে পানির ভেতর কংক্রিটের পিলারের ওপর বসানো, নদীর পার থেকে কীভাবে সেটা টেনে পারে ভিড়ানো হতো এবং পাড় থেকে বিচ্ছিন্ন করা হতো জানি না।
কিছুক্ষণ এপারে দাঁড়িয়ে থেকে আমরাও অন্য পথচারীদের মত নিশ্চল ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে নদী পার হলাম। ওপারে গিয়ে আমার পুরোনো বাটন মোবাইলে ব্রিজের কয়েকটি ছবি নিলাম। তারপর আবার ব্রিজ পেরিয়ে ফিরে এলাম এপারে, তখন সন্ধ্যা আসন্ন প্রায়। ভারাক্রান্ত মনে আমরা ফিরে চললাম রেস্ট হাউজের দিকে।
এরপরও অন্তত খুশির খবর এই যে, অতীতের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া কয়লার স্টিম লোকোমোটিভের কয়েকটি নিদর্শন এখনও ন্যারো গেজ, মিটার গেজ ও ব্রড গেজ মিলিয়ে তার তিনটি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সামনে, ব্রড গেজ একটি রাজশাহী রেল ভবনের সামনে, ন্যারো গেজ একটি কাঠের তৈরি সেই আমলের একটি যাত্রীবাহী কোচসহ (কাঠের তৈরি কোচ সম্ভবত এই একটাই টিকে আছে) পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক অফিসের সামনে, মিটার গেজ একটি ঢাকা রেলভবনের সামনে আর একটি সম্ভবত ন্যারো গেজ অথবা মিটার গেজ হবে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলীয় হেড কোয়ার্টার সিআরবি-র সামনে সংরক্ষিত অবস্থায় আছে, তবু তো আছে, একেবারে না থাকার চেয়ে তো ভালো।
বি.দ্র. এটা সতের সালের কথা। এরপর আর সিরাজগঞ্জ যাওয়া হয়নি আমার। ব্রিজটি এখনও সাঁকো হিসেবে টিকে আছে কিনা জানি না। টিকে থাকলে এটাকে প্রতœতাত্বিক ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের এবং সম্ভব হলে পূর্বের সচল অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
0 Comments: