[ সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর দ্বিতীয় বর্ষ ৫ম সংখ্যায় (১৪ এপিল ২০২৫) লেখাটি প্রকাশ হয়েছিল ]
সম্প্রীতি’র পথ চলা
আবুল হোসেন খোকন
উজ্জ্বল সূর্যের দিন আজ। একদিকে বাঙালির বর্ষবরণের দিন, আরেকদিকে সম্প্রীতি’র সূর্যোদয়ের দিন। এই দিনটিতেই বাজারে এসেছিল সম্প্রীতি।
সম্প্রীতি নামের এ ট্যাবলয়েড সংবাদপত্রটি উদ্বোধন করেছিলেন পাবনার কৃতি সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। পরীক্ষামূলক এ সংখ্যাটি প্রকাশ হয়েছিল পহেলা বৈশাখ ১৪৩০, ১৪ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে। বাঙলা নববর্ষকে শীর্ষ বিষয় করে যাত্রা শুরু হয়েছিল।
সম্প্রীতি ছিল বেশ কয়েকজনের ‘হৃদয় প্রীতি’র বহিঃপ্রকাশ। একজন নিবেদিতপ্রাণ মানুষ, যিনি ভাবনায় এবং কর্মে কেবলই মানুষকে নিয়ে ভেবেছেন। মানুষের মঙ্গল সাধনায় নিজের সমস্ত শক্তি, সামর্থ্য এবং বলয়কে নিবেদিত করেছেন। তিনি প্রফেসর শিবজিত নাগ। তাঁর ভাবনায় ছিল এই সম্প্রীতি। লক্ষ্য ছিল দেশ এবং মানুষের মঙ্গল যাত্রায় থাকা। এ নিয়ে তিনি তাঁর বাল্যবন্ধু, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি আলোচনা করেছেন সম-ভাবনার মানুষ হিসেবে আবুল হোসেন খোকন, শুচি সৈয়দ, শ্যামল দত্ত, মতিনুল হাসান মতিনসহ কয়েকজনের সঙ্গে। এই বলয়ের সবাই একই ভাবনায় বিশ্বাসী। সবার ভেতরেই সম্প্রীতির বাসনাটি লুপ্ত ছিল। এরপর দফায় দফায় কয়েকটি বৈঠক করা হয়। প্রথম বৈঠকটা হয়েছিল মতিনুল হাসান মতিনের প্রেস সুন্দরম-এর কক্ষে। সম্প্রীতি নামটি ছিল শুচি সৈয়দের প্রস্তাবিত। স্লোগান ঠিক করা হয় ‘যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে, মুক্ত করো হে বন্ধ’।
তারপর আসল কাজের পালা। এরজন্য প্রয়োজন ছিল সেই মানুষ, যাঁরা স্বেচ্ছাশ্রম দেবেন-তাই-ই শুধু নয়; কাজের পেছনে অর্থ, শ্রম এবং যাবতীয় সাধ্যকে দেবেন। প্রাথমিকভাবে এর বাইরে আমাদের যাত্রায় বাস্তবিক অর্থে আর কোন বিকল্প ছিল না। কিন্তু জটিল সমাজ ব্যবস্থায় কে এমন ‘ঘরের খেয়ে বোনের মোষ তাড়াবেন? ’ খুব ভাবনার বিষয় ছিল। আমাদের জন্য ক-তোগুলো কাজ! লেখা, কম্পোজ, প্রুফ, কম্পিউটার, ছবি, মেকাপ, ডিজাইন, প্রেস, ছাপা খরচ, সময় দেওয়া ইত্যাদি মিলিয়ে নানাকিছু। দরকারগুলো সবটাই চাই ‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’র মতো করে। আমাদের এমন প্রত্যাশায় অনেকে যে ‘পাগল’ এবং ‘পাগলামি’ মনে করেননি- তা নয়। কিন্তু বাস্তবতা অন্য কথা বলেছে। এখনও যে ‘বনের মোষ তাড়ানো’ নিঃস্বার্থ এবং ভাল কাজে নিবেদিতপ্রাণ মানুষ আছেন- তার প্রমাণ মিলেছে কাজ করতে গিয়ে। দেখা গেছে স্ব-উৎসাহে নিবেদিত হয়েছেন অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর প্রয়োজনীয় মানুষগুলো।
এ কারণে লেখা, কম্পোজ, প্রুফ, কম্পিউটার, ছবি, মেকাপ ইত্যাদির জন্য কোন সমস্যা হয়নি। মেকাপ কাজের জন্য স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসেন জাবেদ খালেদ। সঙ্গে আনেন অগ্রজ মাসুদ রানাকে। দুজনেই দেশের সর্বাধিক প্রচারিত একটি দৈনিকের গ্রাফিক ডিজাইনার। এটা ভাবলে অবাক হতে হয়- এই দুজন হলেন অভিজ্ঞ ডিজাইনার এবং মেকাপম্যান। অনেক টাকা দিয়েও তাঁদের সহজে পাওয়া সম্ভব নয়। এমন মানুষ ‘বনের মোষ’ তাড়াতে যুক্ত হলেন- তা ভাবাই যায় না। বাকি ছিল ছাপাখানা এবং এই কাজে নিজেকে উৎসর্গ করার মানুষ। ভাল কাজের সুবাদে সেটাও অলৌকিকভাবে জুটে গেল। আমরা পেলাম একটি ছাপাখানা, সেখানকার রনজু হোসেন (যিনি এখন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর প্রকাশনা সহযোগী) এবং ছাপাখানার মালিক মো. মনজুরুল ইসলাম মজনুকে। এভাবেই প্রকাশনার ব্যবস্থাপনা হয়ে যায়, এবং সম্প্রীতি বের হতে থাকে।
আগেই বলা হয়েছে প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশ হয়েছিল বাঙলা নববর্ষকে শীর্ষ বিষয় করে। শীর্ষ লেখাটি লিখেছিলেন শুচি সৈয়দ। প্রথম সংখ্যার লেখক ছিলেন শিবজিত নাগ, মো. জহুরুল ইসলাম বিশু, আমিরুল ইসলাম রাঙা, শ্যামল দত্ত, মোসতাফা সতেজ, ফারহানা নীলা, সনম রহমান, আবুল হোসেন খোকন। এই সংখ্যার প্রধান শিরোনামগুলোর মধ্যে ছিল, বৈশাখ আজ আমার কাছে আলো’‘নাজিরগঞ্জের যুদ্ধ, জুঁই বাংলা বলে চিৎকার শুরু করল হানাদাররা’ ‘ঊনসত্তরের শহীদ আবদুস সাত্তার’ ‘ভাষা সংগ্রামী আমিনুল ইসলাম বাদশা’ ‘ড. সন্জীদা খাতুন-এর সাক্ষাতকার, সংস্কৃতি মানুষের অন্তরকে শুদ্ধ উন্নত করে, জীবন সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন কিচ্ছু না’ ‘ভাষা সংগ্রামী আবদুল মতিনের ছেলেবেলা’ ‘সম্প্রীতির কথা’ ‘পাবনার ভুট্টা আন্দোলন’ ‘রমা দাশগ্রপ্তা থেকে সুচিত্রা সেন’ শিক্ষাবিদ ফখরুল ইসলামকে নিয়ে ‘আমার আব্বা আমার অহংকার’ ‘পঞ্জিকার ২০৫ বছর’। সংখ্যাটিতে মাত্র দুটো বিজ্ঞাপন ছিল। একটি সম্প্রীতির সুহৃদ ‘শিবানী নাগ স্মৃতিকেন্দ্র’ এবং ডা. মেজবাহ উল আজীজ-ডা. মৌসুমী ইকবালের ‘টুথ কেয়ার’। সেই থেকে ‘টুথ কেয়ার’-আজও পর্যন্ত বিজ্ঞাপন প্রদান করে আসছে।
আমাদের পরীক্ষামূলক সংখ্যাগুলো প্রতি মাসের ১৪ তারিখে প্রকাশ হলেও সরকারিভাবে ডিকলারেশন বা ‘ঘোষণাপত্র’ প্রাপ্তি তখনও হয়নি। কারণ তারজন্য সরকারি দফতরে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়। সহজে বা দ্রুতই তা হয় না। আমাদের তরফ থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদন ঢাকা জেলা প্রশাসন, ডিএফপি বা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর, স্পেশাল ব্রাঞ্চসহ বিভিন্ন দফতরে ঘুরতে থাকলো। সঙ্গে চলতে থাকলো সরকারি তদন্ত। তারপর, শেষ সময়ে এসে পড়তে হলো বিপাকে। আমাদের আবেদনে সংবাদপত্রটির নাম দেওয়া ছিল ‘সম্প্রীতি’। অনুসন্ধানের পর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) থেকে বলা হলো, সম্প্রীতি নামে একটি পত্রিকার ডিকলারেশন রয়ে গেছে। সুতরাং এই নামে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন ডিকলারেশন দেওয়া যাবে না। ডিকলারেশন না পাওয়া পর্যন্ত পত্রিকাও বের করা যাবে না। তখন বাধ্য হয়ে সম্প্রীতির প্রকাশনা স্থগিত করতে হয়।
নতুন নামে নতুন করে আবেদন জমা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসক অফিসে। অর্থাৎ প্রক্রিয়াগুলো আবার নতুন করে শুরু হয়। এখানেও সমস্যা ছিল। প্রশ্ন ছিল- নতুন কোন্ নামে আবেদন করা হবে? দেখা গেল আরেকটা নাম দিয়ে আবেদন করা হলো, অথচ সে নামেও ডিকলারেশন আছে। ডিএফপিতে এরকম হাজার হাজার নামে ডিকলারেশন নেওয়া আছে। কেমন করে জানা যাবে- কোন্ নামে ডিকলারেশন নেই? আবার যে নামে নেই, সে নাম আমাদের পছন্দের নাও হতে পারে। এই বাস্তবতায় সহায়তার হাত বাড়ালেন ডিএফপিতে থাকা আমাদেরই পাবনার মানুষ সাঁথিয়ার মোতাহার হোসেন। তিনি ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ ঠিক করে দিলেন। বললেন, পাবনার পত্রিকা হলেও এটি হবে আসলে জাতীয় পত্রিকা।
আমাদের পছন্দ হলো, শিবজিত দাও পছন্দ করলেন। তারপর এই নাম প্রথমে রেখে আরও দুটি নাম দিয়ে নতুন আবেদন করা হয় (কারণ নিয়ম অনুযায়ী আবেদনে তিনটি নাম উল্লেখ করতে হয়)। এ দফায় খুব সহজেই জেলা প্রশাসক অফিস থেকে ফাইল আসার পর ডিএফপির ডিকলারেশন হয়ে যায়। এরপর সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামে নতুনভাবে পত্রিকার প্রকাশনা শুরু হয়। সুতরাং এই বিরতি না হলে আজকের দিনটিই হতো সম্প্রীতি প্রকাশনার প্রথম দিন। নাম বদলের কারণে সেটা হতে পারলো না। ডিকলারেশন প্রাপ্তির পর নতুন নামে অর্থাৎ ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামে প্রথম সংখ্যাটি বের হয় ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে। সংখ্যাটি মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে প্রকাশ হয়। এর বিশেষ লেখকদের মধ্যে ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জহুরুল ইসলাম বিশু (১৫ ডিসেম্বর : মুক্ত পাবনা), আবুল হোসেন খোকন (জেলা স্কুল মাঠে ধূসর সবুজ মানুষগুলো), শ্যামল দত্ত (প্রিয় কবি বন্দে আলী মিয়ার সাথে), বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রাঙা (আবদুল হামিদ : গণ পরিষদ সদস্য, পাবনার প্রধান সড়ক যাঁর নামে), মালা মাহবুব (বরণীয়দের শৈশব স্মৃতি), মোসতাফা সতেজ (নাজিরপুর গ্রামে নেমে এসেছিল গণমৃত্যুর বিভীষিকা), সনম রহমান (পথিকৃৎ শিক্ষাবিদ খালিকুজ্জামান চৌধুরী), ইয়াসমিন হোসেন (ইতিহাসে উজ্জ্বল সাতাশির শিল্পী সংগ্রাম/পাবনায় যতো বিদ্রোহ), সৈয়দ মুসতাফী বৃত্তা (শীতের পাঁচালী)। এগুলো ছিল সবই ইতিহাস-ঐতিহ্যভিত্তিক লেখা। এর বাইরে প্রথম এবং শেষ পৃষ্ঠায় বর্তমানের মতই ছিল বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ প্রতিবেদন।
আজ এতোদিনে জমেছে অনেক কথা, অনেক কাহিনী। যা তুলে ধরতে দরকার লম্বা স্পেস। কিন্তু সেটা নেই। তাই শেষ কথায় এটুকু না বললেই নয় যে, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এখনও কিন্তু বাণিজ্যিক সংবাদপত্র নয়, অর্থাৎ সরকারি- বেসরকারি বিজ্ঞাপন নির্ভর পত্রিকা নয়। এই পত্রিকাটি বের করা হয় বিশেষ দায় বোধ, বা দেশ-মাটি-মানুষের ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি দায়বোধ থেকে; ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ এই হৃদয়প্রীতি থেকে। মানুষকে সু-সচেতন এবং কলুষমুক্ত রাখতে, এইসঙ্গে প্রগতির উজ্জ্বল দিগন্তে যাত্রার বোধ জাগানোই মূলত সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর লক্ষ্য। এখানে এই পরিবারের সঙ্গে জড়িতদের কারও কোন ব্যক্তিস্বার্থ নেই, কোন লাভজনক প্রতাশা নেই; নেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য। সে কারণে এই সংবাদপত্রের সমস্ত খরচ বহন করেন সম্প্রীতি পরিবারের সদস্যরা। নিজেরা অনুদান দিয়ে, ধার দিয়ে, অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে এই সম্প্রীতি বাংলাদেশকে তাঁরা প্রকাশনায় ভূমিকা রাখছেন। ফলে এখন পর্যন্ত এই সংবাদপত্রে সরকারি কোন বিজ্ঞাপন নেই, একেবারে ঘনিষ্ঠ অংশীজন হিসেবে দুটি প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অন্য কারও বিজ্ঞাপনও নেই। বিজ্ঞাপন প্রাপ্তির জন্য সম্প্রীতি বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত কারও কাছে আবেদন-নিবেদন করেনি। এই সংবাদপত্র নিজের মানুষদের সহযোগিতায়ই চলছে। তবে কেউ যদি এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়াতে এগিয়ে আসেন- তাহলে তাঁকে সাদরে গ্রহণ করতে কোন আপত্তি থাকবে না বলে সম্পাদনা পর্যদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করতে পারি। অর্থাৎ আমাদের লক্ষ্য-আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অবশ্যই যে কেউ, বা যে কোন প্রতিষ্ঠান তাঁদের বিজ্ঞাপন সহায়তা দিতে পারেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা ও আন্তরিকতাও গড়তে পেরেছে। রাজধানী ছাড়াও পাবনার সংবাদপত্র জগতে এটি ব্যতিক্রমী মাত্রাও তৈরি করেছে। আজকের এই অবস্থানে পৌছানোর জন্য বেশ কিছু মানুষ, লেখক, সংবাদকর্মী, বিজ্ঞাপনদাতা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্প্রীতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। সবার নাম না আনলেও এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনকে শ্রদ্ধা-ভালবাসায় স্মরণ না করলেই নয়। তাঁরা হলেন প্রফেসর শিবজিত নাগ, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চ্প্পুু, সাবিরুল ইসলাম বিপ্লব, খোন্দকার আবদুল বাতেন আলোক, কাজী হাবিবুর রহমান, ডা. মেজবাহ উল আজীজ, প্রফেসর কামরুজ্জামান, অধ্যাপক আবু রইস, আমিরুল ইসলাম রাঙা, শুচি সৈয়দ, জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, আখতারুজ্জামান আখতার, মোসতাফা আরব সতেজ, আখিনূর ইসলাম রেমন, কামাল সিদ্দিকী, এডভোকেট মোসফেকা জাহান কণিকা, সনম রহমান, হা-মীম আবদুস সবুর, নাজিম উদ্দিন সরদার খোকা, আহমেদ হুমায়ূন কবির তপু, ফাহিমুল ইসলাম শোভন, অধ্যাপক মালা মাহবুব, বৃত্বা রায় দীপা, শাহীন রহমান প্রমুখ।
সম্প্রীতি’র পথচলার বয়স মাত্র দুই বছর পাঁচ মাস। এ পর্যন্ত সংবাদপত্রটির প্রায় সবগুলো সংখ্যাই যথাসময়ে, নির্ধারিত তারিখে প্রকাশ হয়েছে। কোন বত্যয় ঘটেনি। বাস্তবতার নিরীক্ষে কিছু হোঁচট খাওয়ার কথা আগেই উল্লেখ করেছি। তা সত্ত্বেও আমাদের যাত্রা থেমে থাকেনি। আমরা প্রত্যেকটা সংখ্যার জন্য পাঠকদের অকৃত্তিম ভালবাসা এবং ভূঁয়শী প্রশংসা পেয়েছি। বিদগ্ধজনেরা কীভাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর গুনাগুন বর্ণনা করে উৎসাহিত করেছেন- তা এই পরিসরে উল্লেখ করতে চাই না, তবে তাঁদের আস্থা আমাদের যাত্রাকে বলিয়ান করেছে। আমরা এজন্য কৃতার্থ।
সবশেষে আবারও বলছি, আমাদের যাত্রা এবং ভবিতব্যের মূল- আমরা শতভাগ শততার সঙ্গে দেশ এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করবো। আমাদের চেতনা মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং প্রগতিশীলতা। আমরা আমাদের পেশার ক্ষেত্রে সবসময় থাকবো নিবেদিতপ্রাণ এবং নিঃস্বার্থ। দেশ ও বৃহত্তর জনগণের স্বার্থই হবে আমাদের স্বার্থ। এমন দর্শনে সত্যিকারের বন্ধুদের সবক্ষেত্রে কাছে পাবো- এটাই আজকের এই দিনটিতে প্রত্যাশা।
0 Comments: